সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ, খুন, মাদক ব্যবসা, চাদাবাজী, কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতার সহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি একের পর এক ঘটে যাওয়া অপরাধ দমনে জেলা পুলিশ চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে সর্বত্র।

বুধবার(২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জেলার গণমানুষের দাবি আদায়ে বৃহৎ সামাজিক সংগঠন আমরা কক্সবাজারবাসী’র জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি আ.ন.ম.হেলাল উদ্দিন, আমরা ককসবাজারবাসীর সহ -সভাপতিবৃন্দ যথাক্রমে কমরেড সমীর পাল, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মেহেরুজ্জামান, কামাল উদ্দিন রহমান পেয়ারো, নুরুল আজিম কনক,ফাতেমা আনকিচ ডেইজি, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মহসীন শেখ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক আক্তার হোসাইন কুতুবী, উখিয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আমানুল হক বাবুল, জেলা জাসদ নেতা এ.কে.ফরিদ আহমদ,সি.ই.এইস.আর.ডি.এফ এর প্রধান নির্বাহী বিশিষ্ট গবেষক ইলিয়াস মিয়া, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানীড় এর সভাপতি সাংবাদিক কল্লোল ও সংগঠনের শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা সম্প্রতি ধর্ষণ কর জড়িত ধর্ষক সহ তাদের গডফাদারদের গ্রেফতার, আবাসিক হোটেল ভিত্তিক চাঁদাবাজি বন্ধ, আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেফতার, কক্সবাজারের স্বাভাবিক নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান। সমাবেশে বক্তারা সম্প্রতি ধর্ষণ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অব্যাহত ধর্ষণ কর্মকাণ্ড কক্সবাজারের পর্যটনের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। এটা কক্সবাজারবাসীর জন্য লজ্জার।

বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা খুন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে আহত, এর আগে টেকনাফে মেজর(অবঃ) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। যেখানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, পর্যটক এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ব্যর্থ, সেখানে সাধারণ মানুষ অসহায়।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় গোটা বিশ্বের কাছে কক্সবাজারের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে দাবি করেন নেতৃবৃন্দরা। ধর্ষিত পর্যটক নারীকে সহযোগিতা না করে উল্টো তার চরিত্রে কালিমা লাগানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় পর্যটক নারীকে র‍্যাব এর সহযোগিতার প্রসংশা করেন বক্তারা।

এছাড়াও সবদিকে দখল বেদখলের ঘটনা বেড়েছে দাবি করে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, কিছুদিন পূর্বে সংগঠনের জেলা শাখার নেতা, বিশিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ী নুরুল কবির পাশা পল্লবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে দখল করে চিহ্নিত ভূমিদস্যু আনোয়ারের নির্দেশে ভয়ংকর সন্ত্রাসী আশিকের নেতৃত্বে তার সশস্ত্র বাহিনী। দফায় দফায় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দখল ও লুটপাট চালালেও পুলিশের ভূমিকা ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশ উল্টো হয়রানি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এভাবে প্রতিনিয়ত অপরাধ ঘটছে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বলেও দাবি নেতৃবৃন্দের।

সকলপ্রকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে আরও বেশি আন্তরিক হয়ে সাধারণ মানুষের জানমান রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। অন্যথায় বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন বক্তারা।

উক্ত মানব বন্ধন ও সমাবেশে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সোসাইটির অধ্যাপক আনোয়ার,বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনছুর, আমরা ককসবাজারবাসীর সহ সভাপতি সাংবাদিক মোর্শেদূর রহমান খোকন, সমাজ সেবক জাফর আলম দিদার,বিশিষ্ট সুরকার আলম শাহ, আমরা ককসবাজার বাসীর সহ সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কক্সবাকক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি সফিনা আজিম, সমাজ সেবা সম্পাদক রুহুল কাদের শিলু, বিশিষ্ট সংগঠক উজ্জ্বল সেন,ঈদগাঁও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আজাদ,সাংবাদিক আতিকুর রহমান মানিক,হাবিব উল্লাহ,শহর শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল রিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুখ আহমদ,মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মাটিন টিন,সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজমা সুলতানা, রিয়াজ উদ্দিন, রুমা,শহর নেতা ইব্রাহিম,উসমান,ইয়াছিন, আনসার কমান্ডার নুরুল হাকিম,নারী নেত্রী হাফেজা,রেহেনা আক্তার, কহিনুর,জুলি,মুন্নি আক্তার ও দিল বাহার সুফিয়া খাতুন প্রমূখ।